সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মাদারীপুর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের আনন্দ ভ্রমণ-২৫ পাহাড়, নদী আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে স্মরণীয় এক দিন গলাচিপা নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করার দাবিতে মানববন্ধন। কালিয়াকৈরে বনভূমি উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর উচ্ছেদ অভিযান ঘুষ ছাড়া কলম নড়ে না ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার হয়রানি-ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, নিজস্ব দালাল চক্রের মাধ্যমে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ। নাগরপুর গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্ভোধনী খেলা অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ এর সরঞ্জাম চোর চক্রের ২ সদস্য মালামাল সহ গ্রেফতার করেছে নাগরপুর থানা পুলিশ গলাচিপায় যুব ও ছাত্র অধিকারের বিক্ষোভ মিছিল কালিয়াকৈরে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও শোভাযাত্রা পটুয়াখালীতে লোহালিয়া নদী থেকে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার।  গলাচিপায় বিএনপি’র ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী
বিজ্ঞপ্তি
চলনবিলে এসে খালি হাতে ফিরলেন ৫ শতাধিক সৌখিন মাছ শিকারী
/ ৭২ Time View
Update : শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন

 

প্রতি বছর শীতের আগমনী বার্তা এলেই দলবেঁধে নাটোরের চলনবিলে পলো হাতে মাছ ধরতে নামেন উত্তরাঞ্চলের মানুষ। কিন্তু এবছর পলো হাতে এলেও মাছ না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে সৌখিন মাছ শিকারিদের। নিষিদ্ধ জাল দিয়ে স্থানীয়রা পোনা ধরে ফেলায় বিলটি মাছশূন্য হয়ে পড়েছে বলে দাবি তাদের।

শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে বাস ও ট্রাকে করে রংপুর ও গাইবান্ধা থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ হাজির হন নাটোরের সিংড়া উপজেলার চলনবিলে। বিলের শহরবাড়ি, কয়রাবাড়ি ও নিংগইন এলাকায় পলো নিয়ে তারা নেমে পড়েন মাছ মারতে। কিন্তু বেশিরভাগ শিকারি মাছ পাননি। ফলে হতাশা নিয়েই তারা ফিরছেন এলাকায়।

গাইবান্ধার পলাশবাড়ি সদরের বাসিন্দা রশিদ জানান, ট্রাক ভাড়া করে তারা ২৫ জন এসেছেন। প্রত্যেকের খরচ পড়েছে ১ হাজার টাকা। চার ঘণ্টা কয়রাবাড়ি এলাকায় পলো ফেলে তাদের ট্রাকের মাত্র দুজন দুটি ছোট বোয়াল পেয়েছেন। তিনি বলেন, এতদিন শুনেছি চলনবিল মাছের ঐতিহ্য। কিন্তু সেই ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে।

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের রফিক বলেন, ‘টানা পাঁচ ঘণ্টায় একটিও মাছ পাইনি। খালি হাতে ফিরছি। তবে এলাকাবাসীর সঙ্গে উৎসবে অংশ নিতে পেরেছি এটিই বড় পাওয়া।

রংপুরের পীরগঞ্জের শামীম বলেন, সিংড়ার স্থানীয় বাসিন্দারা নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল নিয়ে পোনা মেরে নেয়ায় চলনবিলে মাছের বংশ বিস্তার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে মাছশূন্য হয়ে পড়ছে বিলটি। সাড়ে তিনঘণ্টা পলো ফেলে একটি বোয়াল মাছ পেয়েছি। স্থানীয় প্রশাসন এই জাল বন্ধ করতে পারলেই চলনবিলে মাছের ঐহিত্য ফিরে পাবে বলে জানান তিনি।

পরিবেশ ও প্রকৃতি আন্দোলনের সভাপতি মোল্লা. মো. এমরান আলী রানা বলেন, আগে চলনবিল বিভিন্ন প্রজাতির মাছে ভরপুর ছিল। এখন বর্ষায় ৩ মাস পানি থাকায় মাছগুলো বড় হতে না পেরে হারিয়ে যেতে বসেছে। খাল-বিলে যত্রতত্রভাবে মাছ শিকার করাতেও কমেছে উৎপাদন। আগামীতে মৎস্য অভয়াশ্রমগুলোতে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে না পারলে চলনবিলের মাছের ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে।

সিংড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহাদত হোসেন বলেন, পলো নিয়ে গাইবান্ধা ও রংপুর থেকে কিছু সৌখিন মাছ শিকারী এসেছিল চলনবিলে মাছ শিকার করতে। তবে পানি বেশি থাকায় তারা মাছ শিকার করতে না পেরে ফিরে গেছে।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page