
লিমন হায়দারঃ
২২মে(বৃহস্পতিবার)বেলা ২:৫ মিনিট।চতুর্থ শ্রেণীর পক্ষে পাঠ দান করাচ্ছেন একজন মহিলা শিক্ষিকা।শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ৯ জন।খবর নিয়ে জানা গেল,প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষিকা তিনি।
এরপর চলে যাই পঞ্চম শ্রেণীর কক্ষে।সেখানে শিক্ষক অভাবে ক্লাস বন্ধ।শিক্ষার্থীর উপস্থিতি পেলাম ৪ জন।একইভাবে তৃতীয় শ্রেণীর কক্ষে গিয়ে দেখি শিক্ষার্থী সবমিলে ৫জন।পুরো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলে
শিক্ষার্থীর উপস্থিতি পাওয়া গেল ১৮ জন।প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তি কৃত মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৪ জন।
কেন এমন বেহাল দশা জানতে চাইলে উত্তর দোয়ানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নুর বানু ও সহকারি শিক্ষিকা রেবেকা জানান,আশেপাশের প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশুরা চলে যাচ্ছে।আমরা বাড়ি-বাড়ি গিয়েও অভিভাবকদের বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি।অভিভাবকরা প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি ঝুঁকছে।
অভিভাবকরা জানান,বেশিরভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতে পড়ালেখার মান যাচ্ছে তাই।এই প্রতিষ্ঠানটির অবস্থা তো আরো খারাপ।আমরা নিরুপায় হয়েই প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাতে বাধ্য হচ্ছি।