বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ১১:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কালিয়াকৈরে বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহাম্মেদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও পথসভা কালিয়াকৈরে বিএনপির কমিটি ঘোষনাকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া  শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের বিএনপি থেকে এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী দুলাল চৌধুরীর পক্ষ থেকে শেরপুর জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দদের সাথে ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় সদরপুরে “কালেরকন্ঠের” প্রতিনিধি শিশির খাঁন’কে বয়কট। নকলার পাঠাকাটায় ব্যাংক কর্মকর্তার জমি দখল করে নিয়েছে ভূমি দস্যুরা । তিন বছর মেয়াদি প্রকল্প ‘ব্যালট’। শেরপুরে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ভুমি মন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা স্বস্ত্রীক আটক । শেরপুর সীমান্তে হাতির আবাসস্থল উপযোগী জায়গা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সদরপুর থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র (শর্টগান) উদ্ধার। কালিয়াকৈরে তিনদিন ব্যাপী ভূমি মেলা উপলক্ষে  আলোচনা সভা
বিজ্ঞপ্তি
কুড়িগ্রাম-২ আসনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেও আসন হারালেন আওয়ামীলীগ প্রার্থী 
/ ১০০ Time View
Update : সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৪:২৪ অপরাহ্ন

রফিকুল ইসলাম রফিক, কুড়িগ্রাম:

কুড়িগ্রাম-২ আসনে দলীয় হাইকমান্ডের পরামর্শে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেও আসন হারালেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ ও বর্ষীয়ান নেতা মো. জাফর আলী। শেষ পর্যন্ত আসনটি জাপা প্রার্থী বর্তমান এমপি পনির উদ্দিনকে ছেড়ে দিতে হলো কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে। দলের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন কুড়িগ্রামের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। জোট-মহাজোটের জটিলতায় বারবার মনোনয়ন পেয়েও আসনটি ছেড়ে দেয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে তিনি প্রতিটি ইউনিয়নে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করে তৃণমূলের কর্মীদের উজ্জীবিত করেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ও ওয়ার্ডে নির্বাচনী কমিটি গঠন করা হয় তার নির্দেশে। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-২ (সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী) আসনে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও আসনটি ছেড়ে দেন তিনি। সেই শূন্য আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মো. জাফর আলী। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে এই আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও তিনি দলের মনোনয়ন পেলেও কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সমর্থনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। বর্ষীয়ান নেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলী ২০১৬ ও ২০২২ সালে দলের মনোনয়ন নিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি কিছুদিন জেলা পরিষদের প্রশাসকও ছিলেন।

ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার কারণে তিনি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নে টানা পাঁচবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ ছাড়া তিনি ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নানা পদে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দীর্ঘদিন থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

দলের নেতারা জানান, ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের মাধ্যমে জাফর আলীর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়। তিনি কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের নির্বাচিত ভিপি ও জিএস ছিলেন। তিনি শুধু সদর আসন নয় সারা জেলায় আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছেন তার সাংগঠনিক দক্ষতা ও জনপ্রিয়তা দিয়ে। একবার এমপি নির্বাচিত হয়ে তিনি অনেক উন্নয়ন কাজ করার পরেও জোটের কারণে তিনি বলি হচ্ছেন বারবার।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের জানান, পিছিয়ে পড়া কুড়িগ্রামের উন্নয়নের জন্য মো. জাফর আলীর মতো একজন জনপ্রিয় নেতার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু জাতীয় স্বার্থে কুড়িগ্রামকে বারবার ব্যবহার করা হয়, এটাই কুড়িগ্রামবাসীর জন্য দুর্ভাগ্য। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান বাবু জানান, সদর আসনে দীর্ঘদিন ধরে সরকার দলীয় এমপি নেই। এ কারনে কুড়িগ্রাম জেলাবাসী অনেক উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

 

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page