বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ১১:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কালিয়াকৈরে বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহাম্মেদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও পথসভা কালিয়াকৈরে বিএনপির কমিটি ঘোষনাকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া  শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের বিএনপি থেকে এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী দুলাল চৌধুরীর পক্ষ থেকে শেরপুর জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দদের সাথে ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় সদরপুরে “কালেরকন্ঠের” প্রতিনিধি শিশির খাঁন’কে বয়কট। নকলার পাঠাকাটায় ব্যাংক কর্মকর্তার জমি দখল করে নিয়েছে ভূমি দস্যুরা । তিন বছর মেয়াদি প্রকল্প ‘ব্যালট’। শেরপুরে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ভুমি মন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা স্বস্ত্রীক আটক । শেরপুর সীমান্তে হাতির আবাসস্থল উপযোগী জায়গা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সদরপুর থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র (শর্টগান) উদ্ধার। কালিয়াকৈরে তিনদিন ব্যাপী ভূমি মেলা উপলক্ষে  আলোচনা সভা
বিজ্ঞপ্তি
সামাজিক ভাতার এক হাজার পাঁচশ কোটি টাকা খাচ্ছে অযোগ্যরা
/ ৫০৩ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২ মে, ২০২৩, ১২:৫২ অপরাহ্ন

বিশেষ প্রতিনিধি:

সামাজিক ভাতাপ্রাপ্তদের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ বয়স্ক ও ৩৩ শতাংশ বিধবা অযোগ্য সুবিধাভোগী রয়েছে। যার মাধ্যমে অযোগ্য সুবিধাভোগীদের জন্য ব্যয় হয় প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা। যা প্রতিরোধে কার্যকরী পারিবারিক জরিপ করার দাবি করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

সিপিডি মনে করে, ওই অপব্যয় রোধ করা গেলে শতকরা ৪৫ শতাংশ প্রকৃত যোগ্যদের ভাতার আওতায় আনা সম্ভব। একইসঙ্গে যোগ্য অ-সুবিধাভোগীদের ভাতার আওতায় আনতে বরাদ্দ বাড়ানোরও দাবি করেছে সংস্থাটি।

রোববার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর মহাখালীতে সিপিডি আয়োজিত এক সেমিনারে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত গবেষণা পত্র উপস্থাপন করেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও শামীম আলম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

সিপিডি বলছে, বর্তমানে বয়স্ক ও বিধবা ভাতার ক্ষেত্রে মাসে ৫০০ টাকা ও শিক্ষা উপবৃত্তির জন্য মাসে ১৫০ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। সামাজিক ভাতাপ্রাপ্তদের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ বয়স্ক ও ৩৩ শতাংশ বিধবা অযোগ্য সুবিধাভোগী রয়েছে। এদের মধ্যে আবার প্রায় ১২ শতাংশ পেনশন, ভিজিডি বা অন্যান্য ভাতা নিচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা অযোগ্য সুবিধাভোগীদের জন্য ব্যয় করা হচ্ছে। যা প্রতিরোধ করা প্রয়োজন। তাই প্রকৃত দুস্থ ও আর্থিক দিক দিয়ে দুর্বলদের চিহ্নিত করতে দারিদ্র্য প্রবণ এলাকায় একটি কার্যকরী পারিবারিক জরিপ করা উচিত। অন্যদিকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করা ও যথাযথ কাগজপত্রের অভাবে ৫ থেকে ৩০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাদেরকেও ওই সুবিধার আওতায় আনা প্রয়োজন।

সিপিডির তথ্যানুযায়ী, যোগ্য অ-সুবিধাভোগীদের ভাতার আওতায় আনতে অতিরিক্ত ৪ হাজার ৩০২ কোটি টাকা প্রয়োজন। এদিকে অযোগ্যদের পেছনে ১৫০০ কোটি টাকা অপব্যবহার হচ্ছে। তা রোধ করে এ বিপুল পরিমাণ অর্থ যোগ্যদের পেছনে ব্যয় করা যেতে পারে। আর এই ১৫০০ কোটি টাকার মাধ্যমে প্রকৃত যোগ্য এমন ৪৫ শতাংশ ব্যক্তিকে ভাতার আওতায় আনা সম্ভব।  

সিপিডি মনে করছে, বর্তমান সুবিধাভোগীর প্রয়োজন বিবেচনায় টাকার পরিমাণ যদি বাড়ানো যায়, অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা করা হয় তাহলে অতিরিক্ত ৩ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা প্রয়োজন। কর ফাঁকি ও কর অস্বচ্ছতার মাধ্যমে প্রতি বছর সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। সেটা যদি আদায় করা সম্ভব হয় তাহলে সেখান থেকে অর্থ সংগ্রহ করে এ খাতে ব্যয় করা সম্ভব।

প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল প্রকাশিত সিপিডির এক গবেষণায় দেখানো হয়েছে, কর ফাঁকি ও কর এড়ানোর মাধ্যমে ৫৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা থেকে ২ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। কর ফাঁকি যদি ৮০ শতাংশ হয়, তাহলে ২ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার মতো রাজস্ব হারায় সরকার। আবার যদি কর ফাঁকি ৫০ শতাংশ ধরা হয়, তাহলে সরকার রাজস্ব হারায় ৪১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। 

অন্যদিকে, কর এড়ানোতে যে ব্যয় হচ্ছে সেটা যদি ৫-২৫ শতাংশ পর্যন্ত হয় তাহলে সেটার পরিমাণ ১৪ হাজার কোটি টাকা থেকে ৬৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মতো। এই বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page