বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বিএনপির মনোনয়ন পেল প্রয়াত, সাবেক ও বর্তমান নেতাদের ২৪জন ছেলে ও মেয়ে,বঞ্চিত হলো খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের পুত্র বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে খোন্দকার আকবরের কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভ-অবরোধ শ্রীপুরে চোরাই পথে সার পাচারকালে ৮০ বস্তাসহ পিকআপ আটক ‎পটুয়াখালী গলাচিপায় গজালিয়া ইউনিয়নে বিএনপি’র বিশাল জনসভা। “গলাচিপায় বিএনপির জনসভা: ‘কাউকে বর্গা দেওয়ার জন্য জাতীয়তাবাদী দল তৈরি হয়নি’ — হাসান মামুন” পটুয়াখালী-৩(গলাচিপা-দশমিনা) আসন মনোনয়ন প্রত্যাশী। পটুয়াখালীতে গণঅধিকার পরিষদের জনসভা এনইআইআর বাস্তবায়নে নয়া বিতর্ক: সুরক্ষার নীতি, নাকি বাজার নিয়ন্ত্রণের ফাঁদ? বুটেক্সের চার আবাসিক হলে নতুন প্রভোস্ট নিযুক্ত বুটেক্সে অনুষ্ঠিত হলো জেনরা ফ্যাশন ওডিসি ২০২৫
বিজ্ঞপ্তি
বুটেক্সে অনুষ্ঠিত হলো জেনরা ফ্যাশন ওডিসি ২০২৫
/ ৩০ Time View
Update : রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:০৫ পূর্বাহ্ন

রিদওয়ান আহমেদ আরিয়ান, বুটেক্স প্রতিনিধি:বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) ২৫ অক্টোবর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হলো ‘জেনরা ফ্যাশন ওডিসি–২০২৫: ক্যাম্পাস এডিশন’। আয়োজনটি ফ্যাশন ব্র্যান্ড জেনরা’র উদ্যোগে এবং বুটেক্স ফ্যাশন সোসাইটি’র সহ-আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।সকাল ১০টায় উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি উপাচার্য ড. মো. জুলহাস উদ্দিনের স্বাগত বক্তব্য ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় ‘ইন্টারলেসিং বাংলাদেশ’স ফ্যাশন ডেসটিনি’ শীর্ষক একটি ওপেন ওয়ার্কশপ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্লুচিজ-এর চিফ অপারেটিং অফিসার ফজলে রাব্বি ও মাস্কো ডিজাইন হাবের সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার কাজী তৌহিদুল আলম। যেখানে বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়। বিকাল ৪টার পর শুরু হয় প্রতিযোগিতার মূল আকর্ষণ ‘জেনরা গ্র্যান্ড রানওয়ে শো’, যা তিনটি বিশেষ বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রতিযোগীরা তিনটি ক্যাটাগরিতে তাদের পোশাক ডিজাইন উপস্থাপন করবেন। ক্যাটাগরি তিনটি হলো স্ট্রিট ওয়্যার – রাস্তাঘাট বা দৈনন্দিন ফ্যাশনভিত্তিক পোশাক (যুব সমাজের মাঝে জনপ্রিয়, আরামদায়ক ও আধুনিক স্টাইলের পোশাক যেমন হুডি, টি-শার্ট, স্নিকার্স ইত্যাদি), ট্র্যাডিশনাল ওয়্যার-ঐতিহ্যবাহী পোশাক (যেমন শাড়ি, পাঞ্জাবি, সালোয়ার কামিজ, লুঙ্গি ইত্যাদি, যা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক) এবং সাসটেইনেবল ওয়্যার-টেকসই পোশাক (যে পোশাক পরিবেশবান্ধব উপকরণে তৈরি হয় এবং যা দীর্ঘস্থায়ী, পুনর্ব্যবহারযোগ্য ও কম ক্ষতিকর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় ‘হেরিটেজ টু রানওয়ে: দ্য এক্সপেডিশন অব বাংলাদেশি ফ্যাশন’ শীর্ষক ইন্টারঅ্যাকটিভ প্যানেল ডিসকাশন, যেখানে দেশের প্রখ্যাত ফ্যাশন উদ্যোক্তা, ডিজাইনার এবং পেশাজীবীরা তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে তাদের অভিজ্ঞতা ও দিকনির্দেশনা শেয়ার করেন।এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা ও মাত্রা অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সির সহ-প্রতিষ্ঠাতা আফজাল হোসেন, বিবিয়ানার প্রতিষ্ঠাতা লিপি খন্দকার, বিশ্বরঙের প্রতিষ্ঠাতা বিপ্লব সাহা, ঢাকা কিচ-এর প্রতিষ্ঠাতা কুহু প্লামন্দন, প্রথম আলো হাল ফ্যাশনের কনসালট্যান্ট শেখ সাইফুর রহমান, মাস্কো গ্রুপের মার্কেটিং অ্যান্ড মার্চেন্ডাইজিং-এর জেনারেল ম্যানেজার শেখ মামুন ফেরদৌস, কে ক্রাফ্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খালিদ মাহমুদ খানসহ আরও অনেকে।অনুষ্ঠানে উপাচার্য ড. মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, “আমি আজকের অয়োজন নিয়ে খুবই অনন্দিত। আজকের অয়োজনের দুইটা সেশনে থাকতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে। বুটেক্স ফ্যাশন সোসাইটি সকলকে আমি আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই এবং আশা করি পরবর্তীতে আরও বড় পরিসরে ফ্যাশন শো আয়োজন করা হবে। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর পাশাপাশি আমরা চেষ্টা করি যাতে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন আয়োজন হয়, এতে শিক্ষার্থীরা সুনাগরিক হতে পারে। পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের আলাদা একটা পরিচিতি আছে, আমরা চেষ্টা করবো পোশাকের ডিজাইনে ভিন্নতা আনার।”মাস্কো গ্রুপের মার্কেটিং অ্যান্ড মার্চেন্ডাইজিং-এর জেনারেল ম্যানেজার শেখ মামুন ফেরদৌস বলেন, “ফ্যাশন একটি পরিবর্তনশীল বিষয়; বছর পর বছর এটি তার চক্র পুনরাবৃত্তি করে। দেশজ ব্র্যান্ডগুলোর একই সিগনেচার ক্যারি করে ফ্যাশান মার্কেট ধরে রাখাটা অনেকটা চ্যালেঞ্জিং বিষয়। এই সিগনেচারে ভিন্নতা আনতে না পারলে ব্যবসা, অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টা অনেকটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দারাবে। বিদেশের ফ্যাশান ব্র্যান্ডগুলো এই সিগনেচারের ভিন্নতা নিয়ে কাজ করে। তাই জেনারেশন অনুযায়ী আমাদেরও ফ্যাশানে ভিন্নতা আনতে হবে।”অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে টেক্সটাইল ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইনের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রাহমান বলেন, “বুটেক্স ফ্যাশন সোসাইটি’র আয়োজকরা গত দুইদিন থেকে অনেক পরিশ্রম করেছে যার ফলাফল আমারা র‍্যাম্প ওয়াকে দেখতে পেরেছি। বুটেক্স ফ্যাশন সোসাইটি’র আয়োজক এবং অংশগ্রহণকারীদের আমি অভিনন্দন জানাই আয়োজনটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য। সামনের দিনগুলোতে অংশগ্রহণকারীরা ফ্যাশান সেক্টরকে লিড দিবে এটা আমি আশা করি।”প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ডিজাইন জমা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন, যেখানে প্রতিটি ক্যাটাগরিতে সর্বনিম্ন দুইটি এবং সর্বোচ্চ তিনটি ডিজাইন গ্রহণযোগ্য ছিল। ডিজাইনাদের মধ্যে তৃতীয় স্থান পেয়েছেন বুটেক্সের টেক্সটাইল ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজওানা রাহমান মিম, দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের ফ্যাশন ও টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের আলমা খানম এবং প্রথম স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের ফ্যাশন ও টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ সায়মুন হক নাঈম। পরবর্তীতে অতিথিদের মধ্যে ক্রেস্ট বিতরণ এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে আয়োজনটি শেষ করা হয়।

 

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page