সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে খোন্দকার আকবরের কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভ-অবরোধ শ্রীপুরে চোরাই পথে সার পাচারকালে ৮০ বস্তাসহ পিকআপ আটক ‎পটুয়াখালী গলাচিপায় গজালিয়া ইউনিয়নে বিএনপি’র বিশাল জনসভা। “গলাচিপায় বিএনপির জনসভা: ‘কাউকে বর্গা দেওয়ার জন্য জাতীয়তাবাদী দল তৈরি হয়নি’ — হাসান মামুন” পটুয়াখালী-৩(গলাচিপা-দশমিনা) আসন মনোনয়ন প্রত্যাশী। পটুয়াখালীতে গণঅধিকার পরিষদের জনসভা এনইআইআর বাস্তবায়নে নয়া বিতর্ক: সুরক্ষার নীতি, নাকি বাজার নিয়ন্ত্রণের ফাঁদ? বুটেক্সের চার আবাসিক হলে নতুন প্রভোস্ট নিযুক্ত বুটেক্সে অনুষ্ঠিত হলো জেনরা ফ্যাশন ওডিসি ২০২৫ বঞ্চনার প্রতিবাদে থালা হাতে শিক্ষকরা
বিজ্ঞপ্তি
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটাল-এর অংশীদারিত্বের ২০ বছর পূর্তী
/ ১৯২ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৩:৩৯ অপরাহ্ন

বিশেষ প্রতিনিধি:

দেশে পরিহারযোগ্য অন্ধত্ব ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলায় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এবং ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটাল (আইআইইআইএইচ) তাদের অংশীদারিত্বের সফলতার ২০ বছর পূর্ণ করেছে। দৃষ্টিশক্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা, চোখ পরীক্ষা, রোগ প্রতিরোধ এবং চোখের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশ্বজুড়ে সংগঠিত বিভিন্ন উদ্যোগে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ভূমিকা রেখেছে।

২০০৩ সালে সর্বপ্রথম স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ এবং ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটাল যৌথভাবে চক্ষু-স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ শুরু করে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যাংকের পূর্ববর্তী গ্লোবাল ফ্ল্যাগশিপ কমিউনিটি এঙ্গেজমেন্ট প্রোগ্রাম ‘সিইং ইজ বিলিভিং’ প্রতিষ্ঠা করে, যা ১০৪.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ডোনেশন সংগ্রহ করে এবং বিশ্বের ৩৮টি দেশের ২৫ কোটি মানুষকে সেবাদান করে। ২০২০ সালে ‘সিইং ইজ বিলিভিং’ প্রোগ্রামটি তার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পর সফলভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করা হলেও, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ বিভিন্ন স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত কমিউনিটি এঙ্গেজমেন্ট প্রোগ্রামের জন্য আইআইইআইএইচ-এর সাথে অংশীদারিত্ব অব্যাহত রেখেছে।

সাম্প্রতিক এই অংশীদারিত্বের অধীনে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-আইআইইআইএইচ যৌথভাবে প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের জন্য ছয়টি কম্প্রিহেন্সিভ চক্ষু-স্বাস্থ্য ক্যাম্প এবং স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য ৬টি স্টুডেন্ট সাইট টেস্টিং প্রোগ্রাম (এসএসটিপি) স্থাপন করে। এছাড়া, আইআইইআইএইচ-কে অস্ত্রোপচারের রোগীদের পরিবহন সুবিধা এবং অন্যান্যদের চশমা, অপটিক্স ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহে ব্যাংক সহায়তা প্রদান করেছে। বিগত ২০ বছরে উভয় প্রতিষ্ঠান প্রত্যন্ত জনগোষ্ঠীকে (প্রাক্তন ছিটমহল সহ) কম্প্রিহেন্সিভ স্বাস্থ্যসেবা সমাধান প্রদান করে আসছে। গ্রামীণ-শহুরে উভয় ক্ষেত্রেই ব্যাংক স্ট্রেনদেনড লো ভিশন রিহ্যাবিলেশন (এসভিআর) এবং ভিশন থেপাপি’র মাধ্যমে শিশু স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এর আগে, আইআইইআইএইচ-এ একটি উন্নত পেডিয়াট্রিক অপথালমোলজি আউট-পেশেন্ট সুবিধা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০১৮ সালে ব্যাংক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দেয়।

এ প্রসঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, “ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইন্সটিটিউট অ্যান্ড হসপিটাল-এ আমার এক পরিদর্শনের সময় আমি সিইং ইজ বিলিভিং প্রোগ্রামের আসল প্রভাব উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম। আমি সৌভাগ্যবশত অসাধারণ একটি মূহুর্তের সাক্ষী হই, যখন সাত বছর বয়সী এক ছেলের চোখ থেকে ব্যান্ডেজ সরানোর পর সে প্রথমবারের মতো তার মায়ের মুখ দেখতে পায়। আমি অনুভব করেছিলাম যেন সেই মূহুর্তে পুরো বিশ্ব তাদের চারপাশে থমকে গেছে। আমি আশা করি যে, আইআইইআইএইচ-এর সাথে আমাদের কর্মসূচি এবং উদ্যোগগুলো আমাদের সুবিধাভোগীদের জীবনকে উন্নত করতে ও একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়তে সাহায্য করবে।”

ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটাল-এর (আইআইইআইএইচ) উপদেষ্টা জাহিদা ইস্পাহানি বলেন, “স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর সাথে গত ২০ বছর ধরে আমাদের এই অংশীদারিত্ব, সুবিধাবঞ্চিত বা আর্থিকভাবে দুর্বল জনগোষ্ঠীর যত্ন নিশ্চিতে সাহায্য করেছে। অগণিত মানুষকে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার লক্ষ্য পূরণে আমাদের পাশে থাকায় আমি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডকে ধন্যবাদ দিতে চাই।”

দেশের দীর্ঘমেয়াদী অংশীদার হিসাবে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিস্থাপকতার অনুপ্রেরণামূলক গল্পের সাথে যুক্ত হয়েছে। ১১৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে, ব্যাংক এই দেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাণিজ্য ও উন্নয়নের জন্য, বৃহত্তর অন্তর্ভুক্তি প্রচারের জন্য পরিষেবা প্রসারিত করা এবং স্টেকহোল্ডারদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করার জন্য নিবেদিত রয়েছে। ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইন্সটিটিউট অ্যান্ড হসপিটালের সাথে ব্যাংকের সম্পর্ক একাধিক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেমন; সম্পদ সংগ্রহ শক্তিশালীকরণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় প্রযুক্তিগত ব্যবহার বৃদ্ধি ইত্যাদি।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page